মানবজাতিকে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনোদনসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে ভ্রমণ করতে হয়। আর বাহন ব্যতীত ভ্রমণ চিন্তা করা যায় না। আর আল্লাহ তাআলা জীবজন্তুর মাধ্যমে মানবজাতির বাহনের প্রয়োজন পূরণ করেছেন। “আল-কুরআন, আন নাহল:০৭, আল-কুরআন, ইয়াসীন:৭২।” ভ্রমনে অনেক সময় সাথে পর্যাপ্ত খাদ্য ও পানীয় না থাকার কারণে কষ্ট হয়ে থাকে। মানবতার মূর্ত প্রতীক রাসূলুল্লাহ সা. এ সমস্যা সমাধানের দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে বর্ণিত হয়েছে, আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলূল্লাহ সা. বলেছেন, তোমরা যখন সবুজ ঘাস বা বাগানের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করবে, তখন উটকে তার হক দান কর। আর যখন তোমরা দুর্ভিক্ষ পীড়িত মরুপ্রান্তরে সফর করবে তখন ভ্রমণের গতি দ্রুততর করবে। তারপর রাত যাপনের ইচ্ছা করলে পথ হতে সরে পড়বে। “ইমাম আবূ দাউদ, আস-সুনান, অধ্যায়: জিহাদ, পরিচ্ছেদ: ফি সুরআতি আস সায়রি আন নাহি আত তাআরিসি ফি আত তারিক, প্রাগুক্ত, খ.২, পৃ:৩৩৩, হাদীস নং-২৫৭১।”
রাসুলুল্লাহ সা. আরো ইরশাদ করেন: যখন তোমরা উর্বর ভূমি দিয়ে চলাচল কর তখন উটকে ভূমি থেকে তার পাওনা আদায় করতে দিও। আর যখন দুর্ভিক্ষ পীড়িত ভূমি দিয়ে পথ চল তখন তাড়াতাড়ি পথ অতিক্রম করবে এবং যখন কোথাও রাত যাপনের জন্য অবতরণ করবে তখন পথে মঞ্জিল করবে না। কেননা, তা হচ্ছে জন্তুদের রাতে চলার পথ এবং ছোট ছোট অনিষ্টকর প্রাণীদের রাতের আশ্রয়স্থল। “ইমাম মুসলিম, আস-সহীহ, অধ্যায়: আল ইমারাহ, পরিচ্ছেদ: আন মুরাআতি মাছলাহাতিল আদ দাওয়াব্বি ফি আস সায়রি ওয়া আন নাহি আনি আততারিশি ফি আততারিক, প্রাগুক্ত, খ.৬, পৃ:৫৪, হাদীস নং-৫০৬৮।”
সফরে মাঝে মাঝে বিরতি দিতে হবে। আর যদি সাথে কোন জীবজন্তু থাকে তবে তাদের বিশ্রামের ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে তারা অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। আনাস ইবনু মালিক রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা দুপুরের সময় যখন কোন মনযিলে বিশ্রাম নেয়ার জন্য ঘোড়া বা উটের পৃষ্ঠ হতে নামতাম, তখন এর পিঠ হতে মালপত্র ও গদি অপসারণ করে ভারবাহী পশুকে আরাম দানের পূর্বে নিজেরা কোন নামায পড়তাম না। “ইমাম আবূ দাউদ, আস-সুনান, অধ্যায়: জিহাদ, পরিচ্ছেদ: আত তাহরিশু বায়না আল বাহাইম, প্রাগুক্ত, খ.২, পৃ:৩২৯, হাদীস নং-২৫৫৩।”